meghna
swiess-win-

ব্রিল এমবোলোর জন্য সুইজারল্যান্ড–ক্যামেরুন ম্যাচটি একটু অন্যরকমই ছিল। এমবোলো সুইজারল্যান্ডের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড যাকে খেলতে হয়েছে তাঁর জন্মভূমির বিপক্ষে। শুধু যে খেলতেই হয়েছে, তা নয়। আজ ক্যামেরুনের বিপক্ষে সুইজারল্যান্ডের জয়ের নায়কও এমবোলোই। তাঁর একমাত্র গোলেই যে ক্যামেরুনকে ১–০ গোলে হারিয়েছে সুইসরা।

meghna

১৯৯৭ সালে ক্যামেরুনের রাজধানী ইওয়ান্দেতে এমবোলোর জন্ম। তার মা স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে ৫ বছর বয়সী ছেলে এমবোলোকে নিয়ে ফ্রান্সে পাড়ি জমায়।

পৃথিবীর অন্যতম জাঁকজমকপূর্ণ দেশটিতেও থিতু হতে পারেননি এমবোলোর মা। পরের বছরই এমবোলোদের ঠাঁই হয় সুইজারল্যান্ড। বাসেলে বসতি গাড়েন এমবোলোর মা। সেখানেই ফুটবলে ‘পায়েখড়ি’ হয় তার।

এমবোলো ২০১৪ সালে সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব পান। এবার তাঁকে এবং তাঁর মাকে ঠাঁই দেওয়া সেই দলকে ফুটবল মহাযজ্ঞে জয় এনে দিতে এমবোলো হৃদয় ভাঙলেন নিজের জন্মভূমির হাজার হাজার মানুষের! তবে ক্যামেরুনিয়ানদের তিনি সম্মান জানালেন গোলটির পর উদ্‌যাপন না করে!

ক্যামেরুনকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করেছে সুইজারল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) আল ওয়াকরার আল জানুব স্টেডিয়ামে ‘জি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ড ১-০ গোলে হারিয়েছে আফ্রিকার দেশটিকে।

ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। ৪৮ মিনিটে সুইজারল্যান্ডের জয়সূচক গোলটি করেছেন তাদের ক্যামেরুনিয়ান বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় ব্রিল এমবোলো।

ম্যাচে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। প্রায় সমান তালে খেলেছে ইউরোপ ও আফ্রিকার দেশ দুটো। বল দখলে কেউ কারো চেয়ে কম ছিল না। প্রথমার্ধে সুইজারল্যান্ড একটু প্রধান্য নিয়ে খেললেও দ্বিতীয়ার্ধের খেলা হয়েছে সমানে সমান।

গোলশূন্য প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর ৩ মিনিটের মধ্যেই গোল আদায় করে নেয় ইউরোপের দেশটি। একটি গোছানো আক্রমণ ছিল। মাঝমাঠ থকে আসা বল ডান প্রান্তে ধরে সামনে এগিয়ে নিঁখুত ক্রস করেছিলেন জাদরান শাকিরি। দৌড়ে এসে সে বলে পা লাগাতে কোনো ভুল করেননি ব্রিল এমবোলো।

ক্যামেরুনের বিপক্ষে গোল করেছেন ক্যামেরুনে জন্ম নেওয়া এমবোলো। তিনি সুইজারল্যান্ড জাতীয় দলে খেলছেন ২০১৫ সাল থেকে। ৬০ ম্যাচে ১২টি গোলও আছে তার। এই প্রথম জন্মভূমির বিপক্ষে গোল করলেন ২৫ বছর বযসী এই ফরোয়ার্ড।

গোল হজমের পর সেটা ফিরিয়ে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা ছিল আফ্রিকার অন্যতম শক্তিশালী দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে তারা আরেকটু গুছিয়ে খেলে বারবার হানা দিয়েছিল সুইজারল্যান্ড রক্ষণে। এর মধ্যে ৫৭ মিনিটে দারুণ একটা সুযোগও তৈরি করেছিল তারা। পোস্টেও সামনে থেকে এরিক ম্যাক্সিমের শট কোন মতে কর্নার করে দলকে গোল খাওয়া থেকে রক্ষা করেন সুইজ গোলরক্ষক ইয়ান সোমবার।

শেষ দিকে ক্যামেরুনের অলআউট ফুটবলে প্রতি আক্রমণ থেকে দুইবার ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়েছিল সুইজারল্যান্ডেরও। এর মধ্যে ভালো সুযোগটি ছিল ইনজুরি সময়ে পঞ্চম মিনিটে। হ্যারিস সেফোভিচের শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন গোলরক্ষক।

প্রমার্ধে দুই দলের সামনেই ছিল গোল করার একাধিক সুযোগ। ৩০ মিনিটে ক্যামেরুন প্রথমার্ধে তাদের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি পেয়েছিল গোল করার। মার্টিন হোংলার শট গোলরক্ষকের হাত থেকে ছুটে গেলে ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার সিলভান উইডমার।

৪০ মিনিটে সুইজারল্যান্ডের রুবেন ভারগাসের ক্রসে চমৎকার হেড নিয়েছিলেনন নিকো এলভেদি। দুর্ভাগ্য তার হেডের বল বাইরে চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে।

বিরতির বাঁশি বাজার আগ মূহূর্তে আরেকটি সুযোগ তৈরি হয়েছিল সুইজারল্যান্ডের সামনে। এবারও উৎস ছিলেন রুবেন ভারগাস। পোস্টের খুব কাছ থেকে নেওয়া ম্যনুয়েল একানজির হেড চলে যায় বাইরে।


এম/এস

meghna

আরও পড়ুন


meghna