উন্নয়নের বিনিময়ে শেখ হাসিনা নৌকায় ভোট চাইলেন

উন্নয়নের বিনিময়ে নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যশোর সফরে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকায় ভোট দিয়ে আপনারা আমাদের নির্বাচিত করে সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে আমি আপনাদের ওয়াদা চাই, সেই নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আপনারা দেশের সেবা করার সুযোগ দেবেন কিনা হাত তুলে ওয়াদা করেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) যশোরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তবে শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর জয় বাংলা স্লোগান ও ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম নিষিদ্ধ ছিল। ইতিহাস বিকৃতি, হত্যা, ক্যু আর ষড়যন্ত্র হয়েছে। হাজার হাজার সেনা-বিমান বাহিনীর অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। একের পর এক ক্যু হয়েছে।এই তো ছিল তখনকার অবস্থা। আর এসব হত্যাকাণ্ডে জিয়া, মোশতাক এরা সবাই খুনি। বিচার চাওয়ার অধিকার আমার ছিল না। মা, বাবা, ভাই হারিয়েছি; বিচার চাইতে পারব না। তারপরও সবকিছু মাথায় নিয়ে ফিরে এসেছি বাংলার জনগণের কাছে। কারণ এ জাতির জন্য আমার বাবা সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। কাজেই আমার একটাই লক্ষ্য বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েই বারবার ক্ষমতায় এসেছি। আর ক্ষমতায় এসেছি বলেই এত উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। যে বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করেছিল, বিদেশ থেকে পুরোনো কাপড় এনে এ দেশের মানুষকে পরাতো, মানুষের পেটে খাবার ছিল না, মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না, রোগে চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না।
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়ার সময়ে দেশে ৪০ ভাগ মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস করত। আমরা তা ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। হতদরিদ্র মানুষ ছিল ২৫ ভাগ। তা আমরা ১০ ভাগে কমিয়ে এনেছি। কারণ, আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের জন্য কাজ করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রথম প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন দ্বিতীয় প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এক লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমির জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছে। যেখান থেকে বিনা পয়সায় ৩০ ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়।
এছাড়া অভয়নগরে ৫০০ একর জমিতে ইপিজেড নির্মাণ এবং মনিরামপুরে দারিদ্র্য বিমোচনে জহুরুল হকের নামে পল্লী একাডেমি নির্মাণ করা হচ্ছে।
এম/এস