ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো
বিবি র বেধেঁ দেয়া আমানতের সুদ হার প্রত্যাহার চায়

বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাবসায়ীদের সুবিধার্থে আমানতের সুদের ওপর নির্ধারিত ৭ শতাংশ সুদের হারের বিধান বাতিল বা প্রত্যাহার করার দাবী করেছে দেশের ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এফবিসিসিআই’র নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রধানরা এ দাবি জানান।
সভায় তারা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী আমানতের উপর গ্রাহকদের ৭ শতাংশের বেশি সুদ দিতে পারছে না ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। অন্যদিকে ব্যাংকগুলোও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ অমান্য করে বাড়তি সুদে আমানত সংগ্রহ করছে। এতে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অসম প্রতিযোগিতায় পড়ছে ।
তারা অভিযোগ করে বলেন, কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত নীতিতেও ব্যাংকগুলো বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেও একই সুবিধা দেওয়ার দাবি জানান তারা। ব্যাংক বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আকার আরও বাড়ানোর আহ্বান করেন কমিটির সদস্যরা।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন তাদের দাবির সঙ্গে একমত প্রকাশ করে বলেন, সুদের সর্বোচ্চ হারের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এফবিসিসিআই শিগগিরই আলোচনা করবে। এছাড়াও ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সহায়তায় পার্থক্য থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এক্ষেত্রে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভূমিকা রাখতে পারে। এসময় এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রান্তিক উদ্যোক্তা ও এসএমই খাতে ঋণ অর্থায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
কমিটির ডিরেক্টর ইন চার্জ এস এম জাহাঙ্গীর আলম (মানিক) বলেন, সীমিত নীতি সহায়তার মধ্যেও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবদানের কথা তুলে ধরেন । তিনি বাংলাদেশ ব্যাংককে সমান নীতি সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানান।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান উত্তরা ফিন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির কো চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, কান্তি কুমার সাহা, অন্যান্য সদস্য, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক রেজাউল করিম রেজনু, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল ও মহাসচিব মাহফুজুল হক।
এম/এস